জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসন শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার দাবিতে গণঅনশন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল নয়টা থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ গণঅনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জ দ্বিতীয় ক্যম্পাসের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ছয় বছরে কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে কাজ হস্তান্তর করতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিন দাবিতে গণঅনশন শুরু করেছে ১৩ শিক্ষার্থী। দাবির প্রেক্ষিতে সন্তুষ্টজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনে বসা ছাত্র অধিকার পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ অনশন কর্মসুচি ঘোষণা করেছি।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বেলা ১টার দিকে শহীদ মিনারের সামনে এসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষকরা। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার খাওয়ার আহবান জানান। তবে তারা এতে সাড়া দেননি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘তোমরা আমাদের সন্তান। তোমাদের এভাবে অনশনে রেখে আমরা শিক্ষক সমিতি বসে থাকতে পারি না। আমরা তোমাদের সব দাবির সাথে একমত। তোমরা যে কর্মসূচি দাও, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু আমরা চাই, এখন তোমরা শিক্ষক সমিতির সঙ্গে দুপুরের খাবার খাও। আমরা প্রশাসন থেকে আসিনি। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা তোমাদের সঙ্গে নিয়ে প্রশাসনের কাছে যাব। কবে কাজ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করব।’ এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না। আপনারা আমাদের কাছে আসবেন না।’
বার্তাবাজার/এস এইচ