কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের গণসংযোগ, নির্বাচনী পথসভার পাশাপাশি প্রচারণায় মাঠ সরগরম। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মুখর হয়ে ওঠেছে পৌর এলাকা। একাধিক মেয়র প্রার্থীর পরিবারের নারী সদস্যরাও মাঠে নেমেছেন। তাঁরাও সমানে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
তবে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী থাকলেও অনেকের মতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী এমএ কাইয়ূম ভূঞা (ক্যারামর্বোড) ও আলহাজ্ব আবুল কাশেম চেয়ারম্যান (নারকেল গাছ) প্রতীক এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার (মোবাইল ফোন) প্রতীকের মধ্যে। এছাড়াও অপর মেয়র প্রার্থীরাও বসে নেই প্রচারণায়। তাঁদের পাশাপাশি সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারীরাও সমানে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ১৭ জুলাই সোমবার দেবীদ্বার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রায় ২১ বছর পর এটাই প্রথম নির্বাচন। আট মেয়র প্রর্থীসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলে মোট ১০২ প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন। এরমধ্যে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ৭৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। গত ২৬ জুন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয়েছে মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচার প্রচারণা। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অলিগলি প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সহ কারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম শামীম নৌকা প্রতীক লড়ছেন। আছেন ক্যারাসবোর্ড প্রতীক নিয়ে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি এমএ কাইয়ুম ভূঞা। তবে সহসাই মাঠ ছাড়ছেন না পৌর আ.লীগের সভাপতি হাজী আবুল কাশেম’র (নারকেল গাছ) সাবেক বিএনপি নেতা শাহজাহান মোল্লার (ইস্ত্রি) সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার (মোবাইলফোন)।
এদিকে, নৌকার প্রচারণায় নেমেছেন ঢাকা মহাণগর যুবমহিলালীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিন, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, তিতাস উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ ভাইসচেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম ওমানীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তাঁরা সদর এলাকার পান বাজার ও কাঁচার বাজারের এক অংশে নৌকার লিফলেট বিতরণ করেন।
নারকেল গাছ প্রতিকে মেয়র প্রার্থী মো. আবুল কাশেম বলেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এ পৌর নির্বাচন। প্রায় ২১ বছর এ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় করেছি। এখন সেই মুর্হুত এসেছে। আমারও বয়স প্রায় শেষের পথে আমি যদি মানুষের উপকার করে থাকি তাহলে আমি একটি করে ভোট চাইছি সবার কাছে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাংবাদিক বাশার জানান, যেখানেই যাচ্ছি সাঁড়া পাচ্ছি। মানুষ মোবাইল ফোন মার্কায় ভোট দিতে চায়, ভোটের পরিবেশ ঠিক থাকলে ভোটাররা একজন সঠিক যোগ্য প্রার্থীকেই ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবে।
অপর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এমএ কাইয়ুম ভূঞা বলেন, আমি স্বচ্ছ ও কারচুপিমুক্ত একটি ভোটের পরিবেশের দাবি জানাচ্ছি। দিন রাত মাঠে ঘুরছি। মানুষ আমাকে সাদরে গ্রহন করছে। ইনশাল্লাহ ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় বিজয় নিয়ে বাড়ি ফিরব।
নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, দিনরাত এক করে ফেলছি। মাঠে নৌকার জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ নৌকাকে বেছে নিয়েছে। ইনশাল্লাহ নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, দেবীদ্বার পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০৯ জন। আগামী ১৭ জুলাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। এর জন্য ১৪টি কেন্দ্রের ১২৪টি কক্ষ প্রস্তুত করা হবে।
বার্তা বাজার/জে আই