ফরিদপুরের সদরপুরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বাধায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কাজ। নির্মাণ কাজ বন্ধ করায় ক্ষুব্ধ বাজার ব্যবসায়ীরা। কাজ শুরুর দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজারে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ইউটিএমআইডিপি প্রকল্পের আওতায় ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন মাস আগে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শুরুর পর বাধা দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী সেকেন্দার বেপারী।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে জয়বাংলা বাজারে বন্ধ হওয়া প্রকল্পের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা পুনরায় নির্মাণ কাজটি চালু করার দাবি জানান। বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজারে আসা মানুষের জন্য পাবলিক টয়লেট খুবই জরুরি। সরকারি খাস জমিতে নির্মাণ কাজ চলছিল। সেকেন্দার বেপারীর বাধায় গত দুই মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। টয়লেটের পেছন অংশে স্থানীয় প্রভাবশালী সেকেন্দার বেপারীর খালি জমি পড়ে ছিল। টয়লেটের কাজ শুরু হওয়ার পর তিনি একটি দোকান ঘর উঠিয়ে ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। তার এধরনের কর্মকাণ্ডে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আফছার শেখ অভিযোগ করে বলেন, বাজারটিতে আজ পর্যন্ত কোনো পাবলিক টয়লেট হয়নি। এতে নানাভাবে সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাজারের আসা নারী ও পুরুষ। সরকার কারো ব্যক্তিগত জায়গায় কাজ করতেছে না, সরকারি জায়গায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ হচ্ছে। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে এই কাজ আমরা বন্ধ করতে দেব না। কারণ এই বাজারে পাবলিক টয়লেট অতীব জরুরি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সজিব দত্ত জানায়, যখন টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করি তখন ওই এলাকা জঙ্গল ছিল। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নির্মাণ কাজ শুরু করলে সেকেন্দার বেপারী তড়িঘড়ি করে একটি দোকান ঘর উঠিয়ে কাজে বাধা দেন, তার দোকানের সামনে টয়লেট নির্মাণ করা যাবে না। প্রকল্পটির মেয়াদ মাত্র একমাস আছে। কাজটি সম্পন্ন করতে না পারলে এলাকাবাসীর পাশাপাশি আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
অভিযুক্ত সেকেন্দার বেপারী বলেন, ওই জায়গায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ হলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। জায়গাটির পেছনে আমার দোকান ঘর রয়েছে। এজন্যই কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, জনস্বার্থে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সেটা স্বাভাবিক গতিতে চলবে। ওই কাজটি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানাবো যেন নীতিমালা অনুযায়ী উন্নয়নমূলক কাজটির নির্মাণকাজ অব্যাহত থাকে।
বার্তাবাজার/এস এইচ