কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌর ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান প্রান্তকে মারধর করে গুরুতর আহত করা ও পরবর্তিতে প্রতিপক্ষের এলাকায় দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনায় উভয় পক্ষে ২৮ জনকে আসামী করে ভৈরব থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল ৮ জুলাই রাতে ছাত্রলীগ নেতা প্রান্তের পিতা সহিদ মিয়া ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ভৈরব পৌর ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান প্রান্ত ইটালি যাওয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা নিয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে রিক্সাযোগে শহরের কমলপুর পশ্চিম পাড়ায় মো: ফজলু মিয়ার ছেলে শাহাদাৎ মিয়ার কাছে যাওয়ার পথে ফারুক ডাক্তার চেম্বারের সামনে পৌঁছালে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া আলিম সরকার বাড়ির বশির মিয়ার ছেলে রোজেনসহ তার বাহিনীরা রিক্সার গতিরোধ করে ছাত্রলীগ নেতা প্রান্তের উপর হামলা করে। এতে করে প্রান্ত গুরুত্বর আহত হয়। পরবর্তীতে প্রান্তের পক্ষের লোকজন শহরের উত্তর পাড়া আলীম সরকার বাড়ি এলাকায় হামলা চালায় এবং দুপক্ষের লোকজন রাস্তার দুই পাশে থাকা দোকানপাট ভাঙচুর করে। এঘটনায় ভৈরব থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা প্রান্তের পিতা সহিদ মিয়া বাদী মামলার অভিযুক্তরা হলো- ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার রোজেন মিয়া (২০), সায়মন মিয়া (১৯), বাবু মিয়া (১৯), আকাশ মিয়া (১৯), রাজু মিয়া (২০), সাঈফ মিয়া (২০), তাঈফ মিয়া (২১), সুমন মিয়া (৩৮), রুবেল মিয়া (৩৫), মোহন মিয়া (৩২), ফরহাদ মিয়া (৩০) ও সবুজ মিয়া (২৮)। এছাড়াও আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অপর দিকে ভাঙচুরের ঘটনায় “ইজি ফ্যাশন” ও “ভোলেন্টস” শো-রুমের বিট মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাচ্চু মিয়াসহ ৮ জন ব্যবসায়ী ভৈরব থানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের নামে মামলা করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বাচ্চু মিয়ার মামলার অভিযুক্তরা হলো বাউরার বাড়ি এলাকার সহিদ মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুর রহমান প্রান্ত (২৫), তার ভাই হাসিবুল হাসান শান্ত (২৪) ও একান্ত (১৪), জয়নাল মিয়ার ছেলে পিয়াস (২৫), আবু বক্কর মিয়ার ছেলে শুভ (২৪), জজ মিয়ার ছেলে সজিব (২৫), জয়নাল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (২৬), প্রাশেদ মিয়ার ছেলে রাহিম (২৭), হাবিব মিয়ার ছেলে অন্তর (২৩), শফিকুল মিয়ার ছেলে দিগন্ত (২৪), আঙ্গুর মিয়ার ছেলে আবুল (২৬), মোবারক মিয়ার ছেলে আলিফ (২২), নাহিন মিয়ার ছেলে উচ্ছাস (২৪)। এছাড়াও মাইন মিয়া (২৪), হৃদয় (২২), মুর্শিদ মিয়া (৪২) পৌরসভার (ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী)কে আসমাী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ।
বার্তা বাজার/জে আই