অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ মাসে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের আতঙ্ক কেটে গেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পলিসি রেট বাড়তেই থাকবে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সরকার পতনের পর সবচেয়ে বেশি চাপে পড়ে দেশের ব্যাংক খাত। আতঙ্কিত হয়ে আমানতকারীরা একদিকে যেমন ব্যাংক থেকে তাদের টাকা তুলে নেন, অন্যদিকে এস আলম আর সালমান এফ রহমানদের মতো বড় ঋণ খেলাপিদের পালিয়ে যাওয়া এবং অনিয়মের নানা চিত্র প্রকাশ পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে দেশের আর্থিক খাত।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পেরিয়েছে ৫ মাস। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখামুখি হোন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। গত ৫ মাসের অর্জন কী- এমন প্রশ্নের জবাবে হুসনে আরা শিখা বলেন, তাদের নেয়া নানা পদক্ষেপে মোটা দাগে আর্থিক খাতের আতঙ্ক কেটে গেছে। সেইসঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক এবং বৈদেশিক দেনা কমে ৪০০ মিলিয়নে নেমে এসেছে, যা স্বস্তির খবর।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পলিসি রেটও বাড়ানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা বাড়ানো হবে। তবে পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া কঠিন বলে মত কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুখপাত্রের। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর অডিট শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করেই বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সম্প্রতি ডলার নিয়ে যারা কারসাজি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে হুসনে আরা শিখা বলেন, অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ ছাড়া কারও ব্যাংক হিসাব জব্দ করছে না বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ