পটুয়াখালীতে জমি ও বসতঘর দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দুই দফায় হামলায় চার নারীসহ দশ জন আহত হয়েছে। ৩ জানুয়ারি শুক্রবার উপজেলার ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালীচন্না গ্রামের মোতাহার ও মোকলেছসহ সন্ত্রাসি বাহিনী প্রতিবেশী জাকির আকনের বাড়িতে এ হামলা চালায়।
এতে জাকির হোসেন (৪২), তার মা ফুলবানু বেগম (৭৫), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৮), ভাই আউয়াল আকন (৩৫), বোন সাহাভানু, হাসিনা বেগম ও পুত্র রনিসহ ১০ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ফাতেমা বেগম ও জাকির হোসেনকে মূমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ১ম দফায় হামলা চালায় মোতাহার, মোকলেছসহ তাদের সন্ত্রাসি বাহিনী।
আহত আউয়াল আকন জানান, মোতাহার ও মোকলেছ তাদের বাড়ী দখলের উদ্দেশ্য অনেক দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে তাদের হয়রানি করে আসছে। এ ব্যপারে স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার শালিশি বৈঠক করে তাদের সতর্ক করা হলেও এ ঘটনা থেকে বিরত থাকেনি। গত ৩১ ডিসেম্বর মোতাহার, মোকলেছ দলবদ্ধ হয়ে আকন বাঢ়ীতে হামলা চালিয়ে জাকির আকনের মা ফুলবানু বেগম, স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও পুত্র রনিকে মারাত্মক আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এপর ওই সন্ত্রাসি বাহিনী গত ০১ ও ০২ জানুয়ারী সকালে দিকে মোতাহার, মোকলেছ সন্ত্রাসি দল নিয়ে বাড়ী দখল নিতে দুইদফা চড়াও হয়।
এসময় আকন বাড়ীর সদস্যরা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের সড়িয়ে দেয় এবং তাদের সতর্ক করেন। কিন্তু ওই সন্ত্রাসিরা একই দিন দুপুর ১২টার দিকে আবারও আকন বাড়ীর উপর চড়াও হলে স্থানীয়রা তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে আকন বাড়ীর সদস্যরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পরে। এঘটনায় গতবৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মো. জাকির হোসেন। কিন্তু থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় গতকাল দুপুর ২টার দিকে মোতাহার ও মোকলেছসহ তাদের সন্ত্রাসি বাহিনী পঞ্চমবারের মত আবার আকন বাড়ীতে হামলা চালায়। এ হামলায় ১০ জন নারী-পুরুষ রক্তাক্ত জখম হন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইমতিয়াজ জানান, এ ব্যপারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা দেয়াসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বার্তাবাজার/এস এইচ