পটুয়াখালীতে দীর্ঘ ৪০ বছর পর ওয়াকফা এস্ট্রেটের ১০ একর জমি রায়ের পর দখল নেয়া চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিরাজলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে উক্ত জমির মোতায়াল্লী নুর মোহাম্মদ রনি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিরাজলা গ্রামে বাবু খা ওয়াকফা এস্ট্রেটের মোতায়াল্লী ছিলেন শের আলী খান। যার ইসি নং ১৩৪৮১। কিন্তুু শের আলী খান মারা যাওয়ার পর সেই জমির মোতায়াল্লী হন তার মেয়ে ডলি আক্তার ও ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ রনি। যা ডলি আক্তার ও রনির পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট।পরে রায়ের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী তাদের জমি বুঝিয়ে এবং জমির উপর সাইনবোর্ড, নিশানা গেড়ে দেন ওয়াকফা এস্ট্রেট পটুয়াখালী জেলার পরিদর্শক লুৎফর রহমান ও জহিরুল ইসলাম। কিন্তু তার কিছুদিন যেতেই একই এলাকার মন্নান গাজী, আশ্রাব গাজী, মিলন গাজী, ফকু হাওলাদার, মিলন হাওলাদার, খবির হাওলাদার, রফিক তালুকদার তাদের লোকজন নিয়ে জমি দখলের পায়তারা করেন এবং বিভিন্ন সময়ে প্রাননাশের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।

জমির মোতায়াল্লী ডলি আক্তার জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর পর বাবু খা ওয়াকফা এস্ট্রেটের প্রায় ১০ একর জমির রায় আমাদের পক্ষে দেন হাইকোর্ট। পরে পটুয়াখালী ওয়াকফা এস্ট্রেটের পরিদর্শক এসে নিশানা, সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন। কিন্তুু এলাকার কিছু ভূমিদস্যু সেটা মানতে না পরে কিছুদিন আগে এবং আজ সকালে জমির উপর থাকা সাইনবোর্ড উঠিয়ে নিয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তারা আমাদের জমির কাছে যেতে নিষেধ করে এবং প্রাননাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে। তিনি আরো বলেন, হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দেয়ার পর জমি আমাদের দখলে কিন্তুু প্রতিপক্ষরা দাবি করেন যে তাদের পক্ষে রায় আছে। যদি তাদের পক্ষে রায়ই থাকে তবে তারা প্রশাসনকে জানাক আমরা জমি ছেড়ে দিবো। তারপরও আমরা কোন মারামারি বা সংঘাত চাইনা। শুধু আইনের সহযোগিতা চাই।

এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ