রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন, যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ নামটি বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, স্থানীয় নামকরণের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সেতুর পশ্চিম পাড় পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, যমুনা সেতুতে ট্রেন চলাচলের গতি সীমিত থাকার কারণে যাত্রীদের শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতো। নতুন সেতু চালু হলে ট্রেনের গতি বাড়বে এবং যাত্রীদের সময় সাশ্রয় হবে। আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে সেতুটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। রেলপথ সচিব আরও বলেন, সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের ৯৭ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, যার ৭২ শতাংশ অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে জাপানের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এটি চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি ট্রেন চলাচল করবে, যা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর মাধ্যমে ৩৮টি ট্রেন চলাচল সক্ষমতাকে বহুগুণে ছাড়িয়ে যাবে। পরিদর্শনে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ