চার বছর পরপর আয়োজিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের মতো ফুটবলের নগণ্য দেশেও ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা পায় লাতিন আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। তিন জুলাই ১১ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসেছিলেন তিন যুগ পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
এত সংক্ষিপ্ত সময়েও নানা ঘটনায় এখনো আলোচনায় সফরটি। ক্রীড়াপ্রেমী ও সমালোচকদের ব্যবচ্ছেদে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারকার সফরে সবচেয়ে কটু হয়ে ধরা পড়েছে একই সময়ে বিমানবন্দরে থেকেও বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ করে না দেওয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে কোনো কিছুই গোপন থাকে না। এটাও থাকেনি। জামাল মার্তিনেজের গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন—এমন একটা ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। মার্তিনেজ যে তার সঙ্গে দেখা করেননি, এটাও। আবেগপ্রবণ ফুটবল ভক্তরা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
এই খবর মার্তিনেজ পেয়েছেন কলকাতায় যাওয়ার পর। যার মাধ্যমে উপমহাদেশ সফরে এসেছেন সেই শতদ্রু দত্তর কাছ থেকে। শতদ্রু ফেসবুক থেকেই জেনেছেন কাহিনি।
ঢাকা সফরে মার্তিনেজকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার কারণে এমনিতেই সমালোচনা হচ্ছে। তার ওপর ওই জামাল-বিতর্ক। শতদ্রু চাইলেও এখন জামালকে মার্তিনেজের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে পারবেন না। শতদ্রু দত্ত তাই জামাল ভূঁইয়ার মনটা ভালো করতে বিকল্প একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। এমিলিয়ানো মার্তিনেজের একটা জার্সিতে অটোগ্রাফ নিয়ে তা রেখে দিয়েছেন জামালের জন্য। শুধুই অটোগ্রাফ নয়, তাতে জামালের জন্য শুভেচ্ছাবাণীও আছে। তার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে জামালের মন খারাপ তো হয়েছেই, একটু অপমানও বোধ করে থাকতেই পারেন। সেটা বুঝেই কি এমিলিয়ানো মার্তিনেজ জার্সিতে অটোগ্রাফ দেওয়ার আগে লিখেছেন, ‘চিয়ার্স, জামাল।’
বার্তা বাজার/জে আই