আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অশ্রুসিক্ত বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমন সময়েই দৃশ্যপটে হাজির হন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। মাশরাফীর মাধ্যমেই তামিমকে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অভিমান ভেঙে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত তুলে নেন ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে নিয়ে তামিম গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন মাশরাফী। এর কিছুক্ষণ পরেই গণভবনে যান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন। এরপর আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর আহবানে জাতীয় দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তামিম।

তামিমের সিদ্ধান্ত বদলের প্রসঙ্গে ম্যাশ বলেন, এর চেয়ে ভালো সমাধান আমি আশা করিনি। তামিম বিরতি চেয়েছে, সেটা নিক। পুরো ফিট হয়ে, মানসিকভাবে তরতাজা হয়ে ফিরুক। কিন্তু এভাবে অবসরের মানে নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক কিছুই হয়। কোচের সঙ্গে ঝামেলা হতে পারে, বোর্ডের সঙ্গে হতে পারে। আমার ২০ বছরের ক্যারিয়ার আর অধিনায়কত্বের ৫-৬ বছরে তো কম হয়নি এসব। সব দলেই কম-বেশি এসব হয়। এসব সামলেই চলতে হয়।

তামিমের জাতীয় দলে ফেরা তো হলো। এখন পরের কাজটা তামিমকেই করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশকে ৫০টি ওয়ানডে জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফী। তার ভাষায়, আমার কথা হলো, সে যেন ট্রেনিং করে পুরো ফিট হয়ে আসে। দায়িত্ব এখন পুরোপুরি ওর।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনেই ওকে বলেছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করছিস, তোর ক্যারেক্টারে সেই দাপট থাকা উচিত। এত আমতা আমতা করে, এত সংশয় নিয়ে ক্রিকেট খেলা যাবে না। ক্রিকেটে অভিমানের কোনো মূল্য নেই। এভাবে অবসর নিলে তিন মাস পর তোকে কেউ মনে রাখবে না। মনে রাখার মতো কিছু করতে হবে।

বার্তা বাজার/জে আই