ময়মসিংহের ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের পয়ারি গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে নির্ধারিত ফির বাইরে কোচিংয়ের কথা বলে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এমনকি কোচিংয়ের টাকা না দিলে ফরম পূরণ করা যাবে না বা পরে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে বলেও পরীক্ষার্থীদের কৌশলে হুমকি দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা এমনটাই অভিযোগ একাধিক অভিভাবকের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী খোকনের নির্দেশে ফরম পূরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ এই অর্থ আদায় করছেন। সরেজমিনে দেখা যায় পরীক্ষার্থী আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারে পরীক্ষার্থীদের জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে ফরম পূরণের নির্ধারিত ফি ছাড়াও প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আরও ৪ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। অনেক পরীক্ষার্থী কোচিংয়ে অনাগ্রহ দেখালেও কোচিং ফির টাকা বাধ্যতামূলক পরিশোধ করার জন্য বিদ্যালয় থেকে বলা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে কোচিংয়ের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। কোচিং না হলে ফলাফল খারাপ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানান। সহ প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন.অভিভাবকদের সাথে মিটিং করে এসএসসি ফরম পূরণের সাথে কোচিং বাধ্যতামূলক করে চার হাজার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে । অভিভাবকরা যদি আনাগ্রহ ইচ্ছুক প্রকাশ করে তাহলে আমরা আর টাকা নিব না এই বিষয়টি নির্বাহী অফিসার অবগত আছেন ।
সার্বিক বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী খোকন কে একধিকবার মোবাইল ফোন কল দিলে রিসিভ করেনি । উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, আমার জানা নেই লিখিত ও মৌখিক কোন অভিযোগ পাইনি পেলে পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি প্রধান শিক্ষককে ডেকে এনে না করে দেওয়া হয়েছে আজ খোঁজ নিয়ে দেখুন নিচ্ছে কিনা।
বার্তাবাজার/এসএইচ