পটুয়াখালীর দশমিনায় নৌ পুলিশের অভিযানে ইউপি সদস্যের উস্কানিতে নৌ পুলিশকে তার অনুসারিদের ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূর্ণী গ্রামের বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবৈধ রাক্ষুসে বাঁধা জাল দিয়ে ঐ এলকার ০৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন ৩-৪টি জাল দিয়ে মাছ ধরায়। তিনি ঐ তিনটি জালের পার্টান হন। ইলিশের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার পর থেকে ঐ ইউপি সদস্য জিসান, মেহেদী, ধলু মাঝিকে দিয়ে অবৈধ রাক্ষুসে বাঁধা জাল দিয়ে মাছ ধরিয়ে আসছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় দশমিনা নৌপুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে প্রাথমিক ভাবে জাল নদী থেকে তোলার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে ঐ ইউপি সদস্যের উস্কানিতে দুটি ট্রলারে অর্ধশতাধিক লোক দিয়ে দাওয়া দেয়। নৌপুলিশের জনবল কম থাকায় তারা জাল ছেড়ে চলে আসে। নৌপুলিশ সদস্যরা আসার পর নদীর পারে এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ইলিশ জেলে বলেন কি বলবো এমন প্রকাশ্যে বাঁধা জাল কখোনই পাতেনি কোন জেলে। আমরা নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলতে পারিনা বাঁধা জালের কারনে। জাল ফেললে জোয়ার ভাটায় আমাদের জাল ঐ অবৈধ বাঁধা জালের উপর উঠে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমাদের ইউপি সদস্যের দাপটে এবং তার ছত্রছায়ায় তিনটি অবৈধ বাঁধা জাল ফেলে রাখে। আমরা নিরুপায় এ বিষয়ে ইউপি সদস্যকে বললে তিনি হুমকি দামকি দেয় । আজ নদীতে অবৈধ জাল অপসারনে নৌপুলিশ ফাঁড়ি অভিযান করতে আসলে আমাদের ইউপি সদস্য তাদের সহযোগিতা না করে অবৈধ বাঁধা জাল যাহারা নদীতে ফেলে তাদের নৌপুলিশকে তাড়াতে হুকুম দেয়। এ ঘটনায় ঐ ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে বলেন, আমি বাসায় ছিলাল না শুনে নদীর ধারে আসি। এসে দেখি অনেক লোক। নদীতে নৌপুলিশ জাল টানছে। আমি কাউকে উস্কানি দেইনি বা আমি বাঁধা জালের পার্টনার নই। নৌপুলিশকে ফোন করেছি জনপ্রতিনিধি হিসাবে।

নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই)আশরাফুল আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে জানান তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবৈধ রাক্ষুসে বাঁধা জাল অপসারনে অভিযান পরিচালনা করলে চরঘূনী নদীতে তিনটি বাঁধা একই সাথে পাতা দেখে জাল উঠানোর চেষ্টা করলে জেলেরা দাওয়া দেয় আমরা চলে আসি। জাল উঠানোর সময় চরঘূর্ণীর ইউপি সদস্য মোশারেফ আমাকে ফোন করে জাল রেখে যেতে বলে আমি তার কথা শুনি নাই। তার পরই দুটি ট্রলার অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে আমাদের দিকে আসে আমরা জাল রেখে চলে আসি। অবৈধ বাঁধা জাল যাহারা নদীতে ফেলে এবং এতে যাহারা সহযোগিতা করে তাদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না সে যতই শক্তিশালী হউক।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ