কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গাছ থেকে গৃহ বধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহতের নাম সোনিয়া (৩৫ ) । সে শহরের কালিপুর গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী ।
আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ । তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে । এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান । নিহতের খালা রতন্না বেগমসহ স্বজনরা জানায়, নিহত সোনিয়া গত কয়েক দিন আগে শ্বশুড় বাড়ি কালিপুর এসেছে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে। তারা এ হত্যাকান্ডে জড়িতদেও শাস্তির দাবি জানান। তবে নিহতের শ্বশুড়ের দাবি আজ ভোরে ফজর নামাজ পড়ে সোনিয়া ঘর থেকে বের হয়েছে । তারপর সকালে আর ঘরে ফেরেনি । সে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে সকালে লোকজন তার মরদেহ গাছে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয় । পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।, আগানগরের জগমোহনপুর গ্রামের আক্তার মিয়ার মেয়ে সোনিয়াকে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে শহরের কালিপুর গ্রামের মোর্শিদ মিয়ার পুত্র আরিফুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয় । বিয়ের পর থেকে আরিফুল তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য শারিরীকভাবে নির্যাতন করতো। নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রী প্রায় সময় বাবার বাড়ি চলে যেতো । তারপর বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতো ।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাজহার জানান, ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে । এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা। এখনো পর্যন্ত তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বার্তাবাজার/রাহা