সকল জল্পনা কল্পনা মাড়িয়ে কক্সবাজার থেকে ৬৫৩ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন পৌছেছে মৌসুমের প্রথম পর্যটকবাহী জাহাজ বার আউলিয়া। আজ রোববার বিকেল ৪টা নাগাদ পর্যটকবাহী জাহাজটি সেন্টমার্টিন জেটিতে পৌছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য আল নোমান। এর আগে সকাল ১০টায় কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে পর্যটকবাহী যাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকেদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘ ৮ মাসের বেশি সময় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিলো। আজকেই প্রথম ট্রিপে ৬৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিন পৌছায়। এতে দ্বীর্ঘ প্রতিক্ষায় থাকা পর্যটকদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

সেন্টমার্টিন পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনেই কক্সবাজার থেকে মৌসুমের প্রথম জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সকালেই আমরা সবকিছু পরিদর্শন করেছি। তার পরেই জাহাজটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দ্বীপের ইউপি সদস্য আল নোমান জানান, দ্বীর্ঘ দিন পর প্রথম জাহাজটি সেন্টমার্টিন ভিড়েছে। এখন পর্যটন মৌসুমের মাঝামাঝি সময়। দেরী হলেও দ্বীপে পর্যটন আগমনে দ্বীপের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছে। এছাড়াও পর্যটক নির্ভর ব্যবসায় মন্দা ভাব নেমে এলেও অন্তত মাঝামাঝি সময়ে তারা লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোকে প্রস্তুত রেখেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের যাতায়াত সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী। এদিকে, প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার স্বার্থে দ্বীপে ভ্রমনের অমুমতি দেওয়ার বিষটি কিছুটা পিছিয়ে যায়।

দ্বীপে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে দ্বীপে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কল রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ