বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং আমন্ত্রিত ব্যান্ড শিরোনামহীনের বিলম্বিত উপস্থিতির কারণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের জমকালো আয়োজন রাতে হঠাৎ থমকে যায়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থীরা।

সকাল থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হলেও সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় জমজমাট সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলতে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ দর্শনার্থী তে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে অনুষ্ঠান চলাকলে নিরাপত্তা ঝুঁকি ও আমন্ত্রিত শিরোনামহীন ব্র্যান্ড ঢাকায় শ্রমিকদের আনন্দোলনের কারনে জ্যামে আটকে পড়ায় আসতে অনেক দেরি হবে বলে উপাচার্য অনুষ্ঠান সমাপ্তির ঘোষনা দেন।

ঘোষণার পরপরই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণ জানতে রাত ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়। তখন প্রশাসনেরন পক্ষ থেকে প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষকরা সেখনে আসলে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি না হয়ে সরাসরি উপাচার্যের সাথে কথা বলার কথা জানায়। কিছু সমায় পর উপাচার্য সেখানে আসে এবং অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার জানায়। এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে শীতের ছুটির আগে এমন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিতে হবে। তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে ছুটির আগেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আশ্বাস দেন। এতে শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত হয়ে অবস্থান ত্যাগ করেন।

শিরোনামহীন ব্যান্ড না আসাতে পারার বিষয়ে ব্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলেন, আমাদের পারফরম্যান্স করার কথা ছিল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত। সাধারণত প্রোগ্রামে মাইক্রো বাসেই যাই। যার কারণে বিকাল ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক থেকে রওনা হয়েছিলাম। যেন ৫ ঘন্টা হাতে থাকে এবং সহজে পৌঁছাতে পারবো ভেবেছিলাম। আসার পথে চন্দ্র থেকে একটা ছবি তুলে আমাদের ফেসবুকে ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেই যে আমরা আসছি। পোস্ট করার আধা ঘন্টা পরই জ্যামে আটকে যাই। ৩ ঘন্টা আটকে থাকার পর জানতে পারি গার্মেন্টস কর্মীদের অবরোধের কারণে জ্যাম তৈরি হয়েছে। সাড়ে ৯টায় তাদের অবোধ শেষ হয়। তখনও পর্যন্ত জ্যামে আটকে ছিলাম। আমাদের আসতে আসতে প্রায় ১টা বেজে যেত। পরে আর আসা হয়নি।

এদিকে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুপুরের খাবার নিয়েও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, দেওয়া খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকেই তা খেতে পারেনি। এবিষয়ে অনুষ্ঠানের আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহম্মদ শাহজালাল বলেন, আমরা যারা কমিটিতে ছিলাম ভাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এত করে জামালপুরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে রংধনু রেস্টুরেন্ট থেকে খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়। কাল শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হলে তারা জানায় কিছু কিছু যাচ্ছে। পরে আমরা এটার সত্যতা পাই। তখন রংধন রেস্টুরেন্ট কে জানালে তারা ১০০ প্যাকেট খাবার পাঠায় তখন আমরা তা শিক্ষার্থীদেরকে দেই। আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না বিষয়টি এখনো শেষ হয়ে যায়নি আমরা আবার বসব।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ