মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে দেশটির অভ্যান্তরে জান্তা সরকার বিমান হামলায় কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত। বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) রাত ৮ টার পর থেকে রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিমান হামলা ও মর্টারশেল শব্দ শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফের সীমান্তে বসবাসরতদের মাঝে বেড়েছে আতঙ্ক।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পাল্লান পাড়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসাইন বিজয় বলেন, সীমান্ত থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব ৪ কিলোমিটার হবে। সন্ধ্যার পর থেকে অন্তত ৩টি বিকট শব্দে বাড়ি ঘর কেপে উঠেছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া বলেন, রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ চলছে। প্রতিদিন কামান ও বিমান থেকে ভারী অস্ত্রের হামলার শব্দ শুনা যায়। তবে আজ সন্ধ্যার পরের শব্দ গুলো খুবই ভয়ংক ছিলো।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা মুনিব রাফি বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে বিকট শব্দগুলো নিত্যদিনের। সেন্টমার্টিনের অদূরে সীমানায় নৌ সেনাদের জাহাজ রয়েছে। গত কালক (বুধবার) তাদের ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশী এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে দ্বীপের মানুষ বেশী আতংকে থাকে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর ২০২২ সাল থেকে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহী দলের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর সংঘাত অনেকটা যুদ্ধে রূপনেয়। বিভিন্ন সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে একাধিকবার গুলিবর্ষণ ও নাফনদী থেকে বোটসহ জেলে অপহরণ করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েক বছর। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় বিজিবির তরফ থেকে আনুষ্টানিক ভাবে প্রতিবাদ জানানোর পরেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে মিয়ানমারের অভ্যান্তরিন সমস্যার প্রভাবে ভালো নেই টেকনাফ সীমান্তের মানুষ।
বার্তাবাজার/এসএইচ