কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর শহরে নির্দিষ্ট কাঁচা বাজার থাকার পরেও পুরাতন বাস স্টেশন সংলগ্ন প্রধান সড়কটি সন্ধ্যা থেকে মাছ ও সবজি ব্যবসায়িদের দখলে চলেযায়। কাঁচা বাজারের ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকার ফলে দিনের বেলায় গোটা এলাকা দুর্গন্ধ ছড়ি পড়ে। সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পূর্বপাশে স্থায়ী ভাবে গড়ে উঠেছে ঝুপড়ি। ফলে আশেপাশের দোকানদারদের ও পথাচারীদের বিড়বম্বনার শেষ নেই। এখন এলাকাটি যানজটের কারনে পৌরবাসির গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফা উচ্ছেদ করেও স্থায়ী সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, টেকনাফ পৌর সভার দুটি কাঁচা বাজার রয়েছে। একটি উপরের বাজার অপরটি বাস স্টেশন। বাস স্টেশন বাজারটির জন্য পৌরসভার স্থায়ী কোন জায়গা না থাকায় আল জামেয়া মার্কেটের সামনে থেকে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। পরে হোটেল গ্রীন গার্ডেনের সামনে সাবেক সাংসদ বদির কাঁচা বাজারের জন্য নিজস্ব জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। শুরুর দিকে ঠিকঠাক মতো বাজার কার্যক্রম চলছিলো। বছর না যেতেই মাছ ও সবজি ব্যবসায়িরা সন্ধ্যার শুরুতেই বাজার ছেড়ে এসে এলোমেলো ভাবে বাস স্টেশন প্রধান সড়কের ধারে পরসা সাজিয়ে বসেন। ফলে শুরু হয় যানজট, বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পথাচারীদের। আর যানজট নিরসনে বেকায়দায় পড়ে ট্রাফিক পুলিশ। উপজেলা প্রশাসন কয়েকদফা উচ্ছেদের পরেও আবার পূর্বে অবস্থায় ফিরে যায়।
মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজারটি সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি আমাদেরকে মাছ বিক্রি করার জন্য দিয়েছিলেন, এখনো পর্যন্ত স্থায়ীভাবে কোনো মাছ বাজার নেই। আমরা নির্দিষ্ট মাছ বাজারে বসি, সন্ধ্যার দিকে কিছু মাছ রয়ে গেলে আমরা সেগুলো ঝর্ণা চত্ত্বরে বিক্রি করি। মাছ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ বলেন, স্টেশন থেকে একটু দূরে হওয়ায় মানুষ সহজে ওই বাজারে যেতে চায় না। নিরুপায় হয়ে ঝর্ণা চত্ত্বরের পাশে জায়গা ছোট হওয়ায় সড়কের উপর বসতে হয়।টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা জহির হোসেন বলেন, বাস স্টেশন এবি ব্যাংকের সামনে কিছু অসাধু ব্যক্তি সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ঝুপড়ি বেঁধে স্থায়ী ভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ফলে পার্কিং এর জায়গা না থাকায় রিক্সা ও টমটক সড়কের উপর দাড়ি থাকে। যার কারনে প্রতিদিন ছোটখাট দূর্ঘটনা লেগেই থাকে।
টেকনাফ বাস স্টেশন বনিক কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন- নির্দিষ্ট বাজার থাকতে প্রধান সড়কের উপর কাঁচা বাজারের কারনে যানযটের পাশাপাশি আশেপাশের দোকানদারদের সমস্যা বেশী হচ্ছে। তাছাড়া যত্রতত্র বাজারের পঁচা পানি ও ময়লা আবর্জনা থেকে একদিকে জীবানু ছড়াচ্ছে, অপরদিকে দূর্গন্ধে দিনের বেলায় দোকানে ঠিকে থাকতে মুসকিল হয়। তাই অবিলম্বে জনস্বার্থে সড়কের পাশ থেকে বাজার উচ্ছেদ করার জরুরী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ নিজামীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, দ্রুত তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নির্দিষ্ট কাঁচা বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একই সাথে সড়কের ধারে ঝুপড়ি গুলো উচ্ছেদ করে পুনরায় যেনো বসতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।
বার্তাবাজার/এসএইচ