সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, “আওয়ামী লীগের নির্যাতনের মাত্রা যত বেড়েছে, বিএনপির প্রতি জনগণের সমর্থন ততই দৃঢ় হয়েছে। ১৬ বছরের তীব্র নির্যাতনেও বিএনপির কোনো কর্মী পিছু হটেনি।”

বুধবার বিকেলে নিমগাছি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় টুকু বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ বিএনপির প্রতিটি কর্মী মাঠে থেকে জনগণের পাশে রয়েছে। আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন বিএনপিকে দুর্বল করার বদলে শক্তিশালী করেছে।”

তরুণ প্রজন্ম প্রসঙ্গে টুকু বলেন, “শিক্ষার্থীরা বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের লড়াইয়ে নেমেছে। এই নতুন প্রজন্মই আওয়ামী লীগের অপশাসনকে চিরতরে শায়েস্তা করবে।” সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে টুকু বলেন, “ছাত্রলীগ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে এর দায় বিএনপির ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সংখ্যালঘুদের পাশে ছিলাম এবং থাকব। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই বিএনপির সমান অংশীদার।”

রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আ.হ. মুহাম্মদ খোকন, যুবদলের সভাপতি মীর আব্দুর জব্বার বাবু, এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস। জনসভায় স্থানীয় জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি দৃঢ় ঐক্যের প্রমাণ বহন করে।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ