ঘোড়াঘাটে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী সানজিদা আক্তার শোভা। বৃহঃস্পতিবার (৬ জুলাই) ঘুম থেকে উঠে সকালের খাবারের জন্য তরকারী রান্না করে সে। রান্না করা তরকারীতে মরিচের পরিমান কিছুটা বেশি হওয়ায় তার বাবা তাকে উচ্চস্বরে বকাবকি করে। পরে বাবার উপর অভিমান করে নিজ ঘরে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে।

ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের হাটপাড়া-দূর্গাপুর গ্রামে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ নিজেদের হেফাজতে নেয়। নিহত কিশোরী সানজিদা আক্তার শোভা ওই গ্রামের শাহাজাদ হোসেনের মেয়ে এবং সে ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের বাবা শাহাজাদ হোসেন জানান, সকালে খাবার খেয়ে তিনি সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তার অসুস্থ বড় মেয়েকে নিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তারা বেলা ১১টার সময় দেখতে পায় শোভা নিজ ঘরে রশিতে নিস্তেজ অবস্থায় ঝুলছে। তাৎক্ষনিক তারা রশি থেকে নামিয়ে নিহত শোভার মাথায় পানি ঢালতে থাকেন। সে সময় নিহত কিশোরীর শ্বাস নিচ্ছিল। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই সে মারা যায়।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অভিমান করেই সে আত্মহত্যা করেছে এমনটাই পরিবারের দাবি। এছাড়াও স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানতে পেরেছি যে ইতিপূর্বে সড়ক দুর্ঘটনার মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে নিহত কিশোরীর কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিলো।

তিনি আরো বলেন, পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় এবং তাদের আবেদনের পেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/রাহা