নোয়াখালী হাতিয়ায় এমভি ফাতেমা-১ নামে মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও আব্দুর রহমান (৫০) নামে এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপের দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ জেলে আব্দুর রহমান উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। সে ট্রলারের বাবুর্চির হিসাবে কর্মরত ছিল।

ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ও মাঝি মোজাম্মেল হোসেন জানান, গত তিনদিন আগে ২১ মাঝি মাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান তারা। সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তীরে ফিরে আসছিলেন। তীরে আসার পথে সকালে প্রচন্ড ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে ২০ মাঝি মাল্লা সাঁতরিয়ে পাশে থাকা একটি ট্রলারে গিয়ে উঠে। কিন্তু কেবিনের মধ্যে থাকা ট্রলারের বাবুর্চি আব্দুর রহমান বের হতে পারে নি। তাকে সহ ট্রলারটি একেবারে ডুবে যায়।

জেলেদের উদ্বার করা এমভি মা আয়েশা ট্রলারের মাঝি আলা উদ্দিন জানান, গত রাত থেকে সাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে পড়ে। এতে সাগরে থাকা সকল মাছ ধরা ট্রলার তীরে চলে আসতে থাকে। সকালে তাদের পাশে থাকা এমভি ফাতেমা-১ নামে ট্রলারটি ঢেউয়ের আগাতে ডুবে যায়। পরে সাগরে বাসতে থাকা মাঝি মাল্লাদের উদ্বার করে ঘাটে নিয়ে আসে। বৈরি আবহাওয়ার কারনে নিখোঁজ জেলেকে উদ্বার করার সম্ভব হয়নি।

বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, উদ্বার হওয়া ট্রলারের জেলেদের বাড়ি তাঁর ওয়ার্ডে। নিখোঁজ জেলের বাড়ীতে শোকের মাতাম বয়ে যাচ্ছে। বৈরি আবহাওয়ার কারনে নিখোঁজ জেলেকে উদ্বারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। জীবিত উদ্বার হওয়া জেলেদের অনেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাদেরকে বুড়িরচর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এব্যাপারে বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ জেলেকে উদ্বারের বিষয়ে কোষ্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। জীবিত উদ্বার হওয়া জেলেদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তিকে উদ্ধারের বিষয়ে নৌ-পুলিশ এবং কোস্টারের সাথে কথা বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।

বার্তা বাজার/জে আই