নেত্রকোনার পূর্বধলায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের বালুচরা বাজার এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসাইনের নেতৃত্বে এ মিছিল বের করা হয়।

শাহাদত হোসাইন নেত্রকোনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের বড় ভাইয়ের ছেলে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জেলায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে এটি ছিল প্রথম মিছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী একত্র হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন। মিছিল নিয়ে সড়ক দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যান তারা। তবে তারা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেননি। মিছিল শেষে ১০ মিনিটের মধ্যে মোটরসাইকেলে চলে যান তারা।

ছাত্রলীগের এই মিছিলের ভিডিও পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজে শেয়ার করা হয়। এ ছাড়া শাহাদত হোসাইনের ফেসবুকে আইডি থেকেও ওই ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘দেশরত্ম শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও নেত্রকোনা-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবিতে বারুচরা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগ।’

শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহাদত হোসাইন মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তার পেছনে প্রায় ২০-২৫ জনের মতো নেতাকর্মীও স্লোগান দিচ্ছেন। তবে ওসব নেতাকর্মীর কারও মুখে মাস্ক, কারও মাথায় হেলমেট, আবার কারও মাথা-মুখ মাফলার দিয়ে প্যাচানো ছিল। ভিডিওতে দেখা গেছে, ‌জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ শেখ শেখ মুজিব লও লও লও সালাম। কে বলে রে মুজিব নাই, মুজিব ছাড়া দেশ নাই। মুজিব আমার চেতনা, মুজিব আমার বিশ্বাস। শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে। শেখ হাসিনা বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার। উন্নয়নের সরকার, মুক্তিযুদ্ধের সরকার, গণমানুষের সরকার, বারবার দরকার। শেখ হাসিনার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে। মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই আহমদ ভাইয়ের মুক্তি চাই বলে স্লোগান দিচ্ছেন শাহাদত। এ সময় সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরাও এসব স্লোগান দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে শাহাদত হোসাইনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে জেলার আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ছাড়া জেলার ১০টি উপজেলায় গত ১৭ আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ