চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের ৫৩টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। ঈদের ছুটিতে শহুরে ঘরমুখী মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। ঢাকার বাইরে আক্রান্তের পরিসংখ্যানে এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম।

এ বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা একহাজার ২১৫ জন। চট্টগ্রামের পর রয়েছে বরিশাল বিভাগ। সেখানে রোগীর সংখ্যা ৭০৫ জন। এছাড়া ময়মনসিংহে ১৭০, খুলনায় ২৩৭, রাজশাহীতে ৫০, সিলেটে ৫৪ ও রংপুরে রয়েছে ৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মারা যাচ্ছে ৮০ শতাংশ রোগী। বাকি ১৪ শতাংশ ৪ থেকে ১০ দিন মধ্যে এবং ৬ শতাংশ ১১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মারা যাচ্ছে।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি দ্বীপ জেলা ভোলার বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী খোকন কখনো ভাবতেই পারেননি কয়েকদিনের জ্বর রূপ নেবে ডেঙ্গুতে। আর তাই জ্বরের শুরুতে স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খান। এরপর অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে এক পর্যায়ে আসতে হয় ঢাকায়।

খোকনের মতো ডেঙ্গু নিয়ে ভোলা থেকে এসেছেন ওলিউদ্দিনও। গ্রামীণ জনপদে কৃষিকাজ করা ওলিউদ্দিনেরও ভাবনাতেই ছিল না ডেঙ্গু।

তাদের স্বজনরা জানান, শরীর কেঁপে জ্বর ওঠার পর দুদিন নাপা খাওয়ানো হয়। তারপরও জ্বর না কমায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসেন রোগীকে। এখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ভোলায় আরও অনেকেই এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বলেও জানান তারা।

এদিকে আক্রান্তদের আতঙ্কিত না হয়ে বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণ করে রক্তের জলীয় অংশ পূরণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বে-নজির আহমদ বলেন, রক্তের যে জলীয় অংশ সেটি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বের হয়ে যায়। ফলে আমাদের হাইপোটেনশন হয়। তাই স্যালাইন, পানিসহ তরল খাবার খেয়ে রক্তের জলীয় অংশটি পূরণ করতে পারলে মৃত্যু অনেকাংশে এড়ানো যাবে।

বার্তাবাজার/এম আই