গাজীপুরে মিথ্যা অপহরণ মামলা ও পুলিশের হয়রানিতে পিতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী কন্যা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে গাজীপুরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কন্যা ও তার স্বামী।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী মালিহা বলেন, তিনি এবং তার স্বামী পরিবারিক ভাবে ঢাকার গুলশানে বসবাসের সূত্র ধরে পূর্ব পরিচিত ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা পরিবারে জানাজানি হলে সে সময়েই ভুক্তভোগী মালিহার পরিবার তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী মালিহাকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার উপক্রম হলে, ভুক্তভোগী মালিহা নিজ উদ্দ্যোগে বাসা থেকে বের হন এবং প্রেমিক নিলয় তথা বর্তমান স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সামাজিক এবং পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মালিহার পরিবার মেনে না নিয়ে উল্টো মালিহার স্বামী নিলয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণের মামলা করেন।
ভুক্তভোগী আরো বলেন, আমি এখন প্রাপ্তবয়স্ক আমার জন্ম ২০০৫ সালে। অথচ আমার বাবা আমার জন্ম সাল জালিয়াতি করে ২০০৭ সাল উল্ল্যেখ করে আমার পাসপোর্ট তৈরি করে। গেলো বুধবার রাতে ঐ মিথ্যা মামলায় আমার স্বামীর বড় ভাই কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, আমি গত ১৭ তারিখে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয়ে পছন্দের পাত্র নিলয় রহমান এর সাথে কাজি অফিসে গিয়ে ৫ লক্ষ ১ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঢাকা নর্দা এলাকায় নিলয়ের বাড়িতে চলে আসি। তারপর আমার বাবা বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে গত ১৭ ই নভেম্বর গুলশান থানায় আমার স্বামী ও তার পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের নামে আমাকে অপহরণ, এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনে গুলশান থানার একটি মামলা দায়ের করেন।
সমূহ মিথ্যা মামলা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে মালিহা সরকার বলেন, বিবাহিত জীবনে আমি সুখে আছি। আমার স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নতুন পরিবারটিকে সম্মানের সাথে মেনে নেয়ার পাশাপাশি আত্মীয়তার সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার জন্য ভুক্তভোগী মালিহা তার পিতাকে অনুরোধ জানান।
ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার