ওরিয়ন গ্রুপের মালিক ওবায়দুল করিম আইনের চোখে পলাতক। তাই তিনি কোন আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি আহমেদ সোহলের হাইকোর্টের একক কোম্পানী বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বহুতল ভবন সিটি সেন্টারের শেয়ার ও মালিকানা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ খারিজ চেয়ে আবেদনের শুনানিতে আদালত এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, একজন পলাতক ব্যক্তি হিসেবে ওবায়দুল করিম কোনো এফিডেভিট করতে এবং ওকালতনামা প্রদান করতে আইনত সক্ষম নন। এছাড়া কোন আইনজীবী একজন পলাতকের পক্ষে আদালতে উপস্থিত হওয়া উচিত নয়।
পরে আদালত আবেদনটির শুনানি ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
আদালতে বেলহাসার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার জোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া।
এর আগে আদালতে বেলহাসার আইনজীবীরা সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওবায়দুল করিমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা প্রদানের অভিযোগ আনেন।
তারা বলেন,ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল করিম অত্র কোম্পানি মোকদ্দমাটি খারিজ করার জন্য একটি আবেদন দাখিল করেছেন। তিনি দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।মো. ওবায়দুল করিম বিচারের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন এবং কোম্পানির অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলের অবস্থিত বহুতল ভবন সিটি সেন্টারের শেয়ার ও মালিকানা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। তিন মাসের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি আহমেদ সোহলের হাইকোর্টের একক কোম্পানী বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার নাজিরুল আলম রনি।
এর আগে মালিকানা ও শেয়ার সংক্রান্ত জটিলতায় সিটি সেন্টার ও এর সব সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কোম্পানী কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। বেলহাসা একুয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী এ মামলা দায়ের করেন। আইনজীবীরা বলেন, সিটি সেন্টারের ২৫ শতাংশ শেয়ার এককভাবে বেলহাসা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীর। কিন্তু এ ভবন বর্তমানে ওরিয়ন গ্রুপের মালিক ওবায়দুল করিমের দখলে রয়েছে।