আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার (স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টা) ঢাকার উদ্দেশে বাকু ছাড়েন তিনি।
সন্ধ্যা ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে ‘বহির্গমন লাউঞ্জ’ উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজান যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এরপর বুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি। ওই দিনই জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এলডিসি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এই রূদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন। আজ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, এসময় উভয় নেতা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার সময় ড. ইউনূস থেরেসা মে’কে বলেন, শ্রম ইস্যুটি আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারের একটি। আমরা সকল শ্রম সমস্যা সমাধান করতে চাই। সাক্ষাতের সময় মে’র হাতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় বাংলাদেশি তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি এবং ম্যুরালগুলোর উপর একটি বই তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবার জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্বনেতা ও কূটনীতিকরা বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেন। জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (কপ২৯) ২৯তম সম্মেলন ১১ থেকে শুরু হয়ে, ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। উন্নত দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানান।
বার্তাবাজার/এসএইচ