সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে শিগগিরই স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া এবং ই-জুডিশিয়ারি চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিচারব্যবস্থা নিয়ে সোমবার (১২ নভেম্বর) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক আঞ্চলিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বিচার বিভাগের প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘একটি গণমুখী, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা থেকে জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। একটি দেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগ কতটা জরুরি এই অভ্যুত্থান তা আরো স্পষ্ট করে দিয়েছে। এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপনিবেশিক বিচারব্যবস্থা অনেক সময়ই মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত বিরোধ নিষ্পত্তিব্যবস্থা বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।
ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সব নাগরিকের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’ সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়ে শিগগিরই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিচারব্যবস্থা সহজলভ্য করতে এবং বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে জনবান্ধব বিচারব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রধান বিচারপতি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সম্মেলনে এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্তাবাজার/এসএইচ