কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্ত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আ,লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আশিকুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ’কে।
মামলার পর থেকে এ ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দিয়েছেন। এতে সেবার কার্যক্রম নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। এদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মনরুজুল ইসলাম মন্জু কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানাগেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিন ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকরা। নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো: নুরুন্নবী এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ গত ১ জুলাই থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে পরিষদের নাগরিকত্ব ও ওয়ারিশ সনদসহ জনসেবার সাধারণ কার্যক্রমে ব্যঘাত ঘটছে।
নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.সানোয়ার হোসেন বলেন,আমি সহ পরিষদের আরো ৩ সদস্য ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্ত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আশিকুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জন ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬’শ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় এজাহার ভুক্ত ৩০ নং আসামী করা হয়েছে নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে। নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ার খাতার আমিনুল ইসলাম আসাদুল ইসলামসহ অনেকে বলেন পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় নাগরিকরা ওয়ারিশ সনদ, জন্ম ও মৃত্যুসনদসহ সংশোধিত জন্মনিবন্ধন পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। সরকার যেন ব্যবস্থা নেন।
থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন এক সপ্তাহে থেকে অফিসে আসছেন না। প্যানেল চেয়ারম্যানও আসেন না। এ বিষয়ে নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ভারপ্রাপ্ত) নঈম উদ্দিন জানান, তিন ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছেন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা আসলে পরবর্তি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তাবাজার/এসএইচ