জাবেদ এর প্রতারনায় নিঃস্ব হবে আর কত জন! এমনই প্রশ্ন এখন ভোলার মানুষের কাছে! জাবেদ ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের শাহে আলম চকিদার এর ছেলে। পড়াশোনা বেশি না করেলও তবে কিভাবে মানুষকে পটাতে হবে তা বেশ রপ্ত করা আছে তার কাছে। মিস্টি মিষ্টি কথা শেষে বিনিয়োগের নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে তা পুরোটাই প্রতারনা করে হজম করে ফেলে। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে কাজে লোকসান দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের নিস্ব করে দেয়। আবার বিনিয়োগকারীদের নামে মামলা দিয়েও নগদ টাকা ও কাজের লাভের অংশ না দেয়ার ফন্দি আকেঁ। কখনো স্ত্রী আবার কখনো ভাইকে বাদি করে মানুষকে হয়রানি করে প্রতারক জাবেদ। এভাবেই প্রতারক জাবেদ এর হাতে নিঃস্ব হয়েছেন এমন অনেকের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।

সদর উপজেলার বাপ্তা এলাকার নাদিম (৩০)। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ চাকুরি করেন। বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে নাদিম এর স্ত্রীর স্বর্ণ অলংকার বিক্রি করে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারিতে পার্টনার করে প্রতারক জাবেদ। কৌশলে কাজে লোকসান দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় তার টাকা। মূল চালান এর টাকাই ফেরত পায়নি আজও অবদি। বালু ও সিমেন্ট ব্যাবসায়ী রিয়াজ মাতাব্বর । একজন সফল ব্যবসায়ী। ঠিকাদারী কাজের পার্টনার করে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও রট, বালু, সিমেন্ট প্রায় ১০ লাখ নিয়েছে। আজও সেই টাকা না দিয়ে মহসিন নাগর এর নামে লইসেন্স থেকে বিল তুলে খেয়ে ফেলেছে প্রতারক জাবেদ।

এছাড়াও তছির গোলদার (৫৫)। তার নিজ এলাকার বাসিন্ধা। ভালো লাভের কথা বলে ২০১০ সালের দিকে ঠিকাদারি কাজের জন্য সাড়ে ৩লাখ টাকা নেয় প্রতারক জাবেদ। এখনো সেই টাকা না দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছে তার সাথে। কামাল বেপারী (৪০), পেশায় একজন মাছের আড়ৎদার। ২০১৪ এর দিকে ঠিকাদারির কথা বলে ৬লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছে। পরে ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবিরসহ শালীশের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা নিতে পারলেও বাকী টাকা আজও দেয়নি। প্রতারক জাবেদ এর হাতে নিঃস্ব রুবেল নামের আরেক ভোলার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী। ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের পাকার মাথা মৌলভী হাট মাদ্রাসার সামনের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তিনটি বিদ্যালয়ের এলজিআরডির বাউন্ডারি ওয়াল এর একটি ঠিকাদারি কাজ কাজ করে আজ অবদি লাভের অংশ দেওয়া হয়নি তাকে। বরং তাকে হত্যা করার জন্য একাধিক সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তার। এই গণমাধ্যম কর্মী বর্তমানে জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন। এদিকে ঠিকাদারি কাজের বিলের টাকা মহসিন নাগর লাইসেন্স দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে প্রতারক জাবেদ, তার অন্য এই কাজের পার্টনার রিয়াজ মাতাব্বরসহ কারো টাকাই দেওয়া হয়নি।

প্রতারক জাবেদ হঠাত বড় লোক ও বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ঠিকাদারি কাজের পার্টনার বানানোর কথা বলে এভাবে টাকা নিয়ে নিঃস্ব করেছেন ভোলার বহুত নতুন উদ্যোগতা ও ব্যবসায়ীদের। টাকা নেওয়ার পর কাজের খরচের নামে টাকা লুটেপুটে খেয়ে কাজে লোকসান দেখিয়ে ওই সকল বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করে দেয়াই জাবেদ এর কাজ। তবে তার রয়েছে এক শক্তিশালী সিন্ডিকেট। কিলার গ্রুপ এর সদস্য রয়েছে জাবেদ এর গ্রুপে এ। কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহীনির পরিচয়ে খুন, গুম করবে বলে হুমকি ধাকমি দেয়া হয় তার সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে। কখনো বিভিন্ন নেতাদের পরিচয়ে হুমকি দিয়ে থাকেন । এ বিষয়ে জাবেদ এর সাথে কথা বলার চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি, তার ব্যবহাৃত মুঠোফোনে কর দিলে তার ছোট ভাই ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছ থেকে টাকা পাবে সত্য তবে আমরাও মানুষদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা পাবো৷ আমাদেরকে পাওনাদাররা যেভাবে চাপ দেন আমরা যাদের কাছে পাবো তাদেরকে সেভাবে চাপ দিতে পারিনা।

 

 

বার্তাবাজার/এসএইচ