ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর করা পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মশিউর রহমান শান্ত (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। জেলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সালাউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শারমিন জাহান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় ২ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ড দেখিয়ে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মশিউর রহমান শান্ত (৪০) পৌরশহরে মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে আসামী বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তিনি রাজি না হওয়ায় আসামী তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে তাদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলাতে বাধ্য করেন। পরে আসামী বেপরোয়া হয়ে ওই ভিডিও কলের স্কিনশর্ট ধারন করে তা ডিজিটাল কারসাজির মাধ্যমে পর্ণগ্রাফিতে রূপান্তর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর স্ত্রী মশিউর রহমান শান্ত (৪০) কে আসামী করে ২০২২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় রাতেই মামলার আসামীকে গ্রেফতার করে আখাউড়া থানা পুলিশ।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ