কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা থেকে উখিয়ায় বদলী করা হয়েছিলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন কে।
তবে উখিয়ায় যোগদান না করেই পুনরায় বদলি হলেন বিতর্কের জন্ম দিয়ে দিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হওয়া ৩৪ বিসিএস এর এই কর্মকর্তা।
১০ নভেম্বর (রবিবার), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিফাত উদ্দিন কে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিত্যক্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বোর্ড এর সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদে প্রেষণে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সিফাত’কে মুরাদনগর থেকে বিশেষায়িত উপজেলা উখিয়ায় পদায়ন করা হয়েছিলো।
একই প্রজ্ঞাপনে উখিয়ার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন’কে বদলি করা হয় রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায়।
আলোচিত ইউএনও সিফাতের উখিয়ায় পদায়ন নিয়ে ৮ নভেম্বর বার্তাবাজার এ সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে প্রশাসনের, ফলশ্রুতিতে ফের বদলি করা হলো তাকে।
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আত্মগোপনে থাকা জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি আছে ইউএনও সিফাত উদ্দিনের।
অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতার (পিতা-পুত্র) তথা দলটির পক্ষাবলম্বন করেছিলেন ইউএনও সিফাত উদ্দিন।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুরাদনগরে যোগদানের পর শেখ মুজিবের মুর্যালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সিফাত নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান দাবি করেন।
স্থানীয়দের দাবি, অনিয়ম-দুর্নীতির ভাগবাঁটোয়ারার অংশ পেতে সদ্য পতিত এমপি জাহাঙ্গীর আলম এবং তার ছেলে অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুরাদনগরে তিনি শুরু করেন নানা অপকর্ম।
দায়িত্বশীল সূত্রে বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে টিআর, কাবিখা, ইজিপিপিসহ ওই সেক্টর ৫% কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের যে কোনো ফাইল থেকে স্বাক্ষরে ২% হারে কমিশন সিফাতকে দিতে হতো।