পটুয়াখালীর সাগর কন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বীচ ক্লিনিং কর্মসূচির আয়োজন করেছে এনহ্যানসড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ডফিশের (ইকোফিশ-২)। ব্যবহৃত প্লাস্টিক যাতে সমুদ্রের পানিতে মিশে গিয়ে জীব বৈচিত্র্যর ক্ষতিসাধন করতে না পারে এজন্য এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকায় কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্বদিকে ঝাউবন পর্যন্ত পরিষ্কার করে ফের জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। কুয়াকাটা সৈকতকে পরিষ্কার রাখা এবং জীব বৈচিত্র্যকে রক্ষা করার এ কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, ব্লু -গার্ডের স্বেচ্ছাসেবী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অর্ধ শতাধিক মানুষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ওয়াল্ডফিশ ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহকারী গবেষক বখতিয়ার উদ্দিন, কলাপাড়া উপজেলার অফিস এ্যান্ড এডমিন এ্যাসিস্টেন্ট মো: সোহাগ, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার, কুয়াকাটা তরুণ ক্লাবের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ, বিডিক্লিন কুয়াকাটা টিমের সহ-সমন্বয়ক মিরাজ মিজু,সাংবাদিক কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব প্রমুখ। ওয়াল্ডফিশের ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে টোয়াকের সদস্য ও সাংবাদিক কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব বলেন,কুয়াকাটা সৈকত আমাদের সকলের এবং এর রক্ষানাবেক্ষনের দায়িত্ব ও আমাদের। এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহকারী গবেষক মো: বখতিয়ার উদ্দিন বলেন,২০২১ সাল থেকে কুয়াকাটায় ২৬ জন ব্লু গার্ড কাজ করে। ২০২৩ সালে প্রায় ২০০০ কেজি এবং ২০২৪ সালে প্রায় ১৭০০ কেজি অপচশীল দ্রব্য কুয়াকাটা বিচ থেকে পরিষ্কার করা হয়। যার মধ্যে ছেড়া জাল, পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল অন্যতম। এছাড়াও সাগরের উপকারী ও বিলুপ্ত প্রায় কচ্ছপ, ডলফিন জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয় এবং মৃত কচ্ছপ ও ডলফিন পাওয়া গেলে তাদেরকে কবরস্তের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করে ইকোফিশ -২।
বার্তাবাজার/এসএইচ