অন্তবর্তীকালীন সরকার মোট ৪৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে। তাদের মধ্যে প্রতিবেদকের পাশাপাশি পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও (সিইও) রয়েছেন। এসব কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চয় স্পেসেফিক কারণেই করেছে।

তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারের দোসর হয়ে গিয়েছিল। তারা অনেকের কণ্ঠস্বর রোধ করতে সহায়তা করেছেন। অনেক কণ্ঠ কেড়ে নেওয়ার জন্য পথ তৈরি করেছেন। অনেক সহিংসার পথ তৈরি করেছে। এগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়ার উচিত।

এ সরকার দাযিত্ব নেওয়ার পর কোনো সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত তিন মাসে কোনো সংবাদপত্রে সরকার বা কোনো এজেন্সি হস্তক্ষেপ করেছে এমন একটি ঘটনাও দেখাতে পারবেন না বা এমন নজির তৈরি হয়নি। তবে যেসব মিডিয়ায় ভুল নিউজ গেছে সেগুলো ধরিয়ে দিয়েছি। গত ৩ নভেম্বর ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে তথ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে প্রতিবেদকের পাশাপাশি পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও (সিইও) রয়েছেন। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। এ নিয়ে মোট ৪৯ সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ