শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি বিভিন্ন কৃষিপণ্যের গুদাম পুড়ে ছাই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের দাসের জঙ্গল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩ কোটি টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে স্থানীয়রা দেখতে পান একটি কৃষিপণ্যের গুদামে আগুন জ্বলছে। এসময় গোসাইরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে ফোন করেন ব্যবসায়ীরা। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুন নিভানোর আগেই ১৮টি কৃষিপণ্যের গুদাম পুরে যায়। গুদামগুলোতে পাট,মরিচ, সরিষা ও সয়াবিন মজুদ করা ছিল।
ব্যবসায়ী মাহমুদ ছৈয়াল বলেন, অন্যদিনের মতো আজও কেনা-বেচা শেষে হিসাব করছিলাম। এসময় আগুন লাগার চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে আসি। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও আমার তিনটি গুদামসহ ১৮টি গুদাম পুরে গেছে। আমার কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন সামনে কীভাবে কী করব, তা বুঝতে পারছি না। গোসাইরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিল্টন মন্ডল বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে তা আমরা এখনো জানতে পারিনি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ডে তাদের অন্তত তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
গোসাইরহাটের দাসের জঙ্গল বাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটার খবর পেয়ে সেখানে যান শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করার জন্য।
বার্তাবাজার/এসএইচ