নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন উৎপাদন, বিপণন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আনন্দ বাজার এলাকার দোকানপাটে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এ সময় তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠে কাজ করছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর। তিনি বলেন, তরী বাংলাদেশ এর জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমটি সময়োপযোগী ও অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এর ফলে মানুষজন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহারের কুফল জানবে ও পরিবেশ আইন সম্পর্কে অবগত হবেন এবং পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাগজ, কাপড় ও পাটের ব্যাগ ব্যবহারে আগ্রহ বাড়বে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী, সোহেল রানা ভূঁইয়া, খাইরুজ্জামান ইমরান, শিপন কর্মকার ও রোটারিয়ান আশিকুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য আবদুল হেকিম,  রিপন চক্রবর্তী, জামান খাঁন, মো. মনির হোসেন প্রমূখ।বক্তারা বলেন, পলিথিন অপচনশীল পদার্থ, তাই এর পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থেকে মাটি ও পানি দূষিত করে। মাটির উর্বরতা হ্রাস ও গুণাগুণ বিনষ্ট করে। পলিথিন উৎপাদন, বিপণন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, ২০০২ সালে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে পলিথিন বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ। পলিথিন বন্ধে আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এতোদিন অবাধে ব্যবহার হচ্ছিলো নিষিদ্ধ পলিথিন। পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ না হওয়ার কারণে এবং জনসচেতনতার অভাবে ব্যবহৃত পলিথিন শহরের ড্রেন ও খালে পতিত হয়ে নদীগর্ভে যাচ্ছে। যার ফলে নদী দূষণ হচ্ছে ও জীব-বৈচিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে এবং নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের জনসচেতনতা, প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা, প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তাহলেই আমাদের চারিপাশের পরিবেশ সুন্দর থাকবে, সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আসুন আমরা সকলেই একসাথে মিলিত হয়ে নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়, পুকুর-জলাশয় সর্বোপরি পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করি।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ