সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নজিরবিহীনভাবে দেশের বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও প্রশাসন দলীয়করণ হয়েছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি, অতিসত্বর নির্বাচনের রোড ম্যাপ দিন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চালানো সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সাবেক উপমন্ত্রী দুলু বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ বছর বিনা কারণে জেলে আটকে রেখেছিলেন। প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করেছেন। আমরা ১৬ বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় স্বাধীনতায় যোগ দেওয়ায় আওয়ামী লীগের পতন চরমভাবে হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার জানাজার লোক ছিল না, আর শেখ হাসিনা পালানোর সময় ওবায়দুল কাদেরও পাশে ছিল না।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসা, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ লাবু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুর হাসান সুমন প্রমুখ।

এরপর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে নগরীর ছালেক পাম্প, প্রেসক্লাব মোড়, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার, কাচারী বাজার হয়ে ডিসির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশে নেতারা বক্তব্য রাখেন। এদিকে রংপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজুর নেতৃত্বে পৃথকভাবে র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারি বাজারের সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি রাশেদ উন নবী খান বিপ্লব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও জেলা সমবায় দলের আহ্বায়ক সেলিম চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশফাকুল বসুনিয়া আজাদ, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু আলী মিঠু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেনুল আরেফীন রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান তিতু, মহানগর তাঁতী দলের সাবেক আহ্বায়ক এমএম আলম পান্না, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুন্তাসির মামুন মুন্না, যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ রাজ প্রমুখ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির কর্মসূচিতে রংপুরে নেতাকর্মীর ঢল নামে। রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন। র‌্যালি ও সমাবেশ থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ জুলাই বিপ্লবে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ