দেশে গাছ কাটার বিষয়ে কোনো আইন নেই। গাছ কাটা নিয়ে আইনের খসড়া করা হবে। ইউক্যালিপটাসের মতো গাছ যাতে না বাড়ে তা নিয়েও কাজ করা হবে- এমনটা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ‘নতুন বাংলাদেশে পরিবেশ, জলবায়ু ও রাজনীতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিশ্বে যত পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে তার প্রায় সব সমস্যাই বাংলাদেশে আছে। বায়ু, পানি, শব্দ সবই দূষণের কবলে। এগুলো সমাধানে অনেক সময় লাগবে। অন্তর্বর্তী সরকার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাবে। তবে সব কাজ হয়তো শেষ করে যেতে পারব না। এ সময় বনে আর সামাজিক বনায়ন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যারা ভোগবাদী অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে চায় এবং যারা জীবাশ্ম পোড়াচ্ছে তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা মানতে চায় না। তাই মার্কিন নির্বাচনের পর জলবায়ু ইস্যু নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সেন্টমার্টিন ইস্যুতে তিনি বলেন, নভেম্বর ও ডিসেম্বর ২ হাজার জনকে সেন্টমার্টিনে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেটুকে সক্ষমতাও নেই। এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫ সাল নাগাদ পুরো প্রবাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন ডুবে যাবে। থাইল্যান্ডেও অনেক প্রবাল দ্বীপ বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় সেন্টমার্টিনে পর্যটন খাতের সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

দেশের নদী, খাল, বিল, হাওড়ের তালিকা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুতই সেই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ