ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে একটি কঠিন সময় পার করছেন। ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ইতালি ২০২৫ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ জনশক্তি নেয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
পূর্ব ঘোষিত সেই গেজেট অনুযায়ী ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি,কিন্তু দালাল চক্রের কারণে ইতালিতে প্রবেশের পর অনেক বাংলাদেশি অন্যান্য দেশে পাড়ি দেওয়ায়, বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় আরও রয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ইতালির কট্টর ডানপন্থি মেলোনি সরকার শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে শর্তাবলী কঠোর করেছে। যদিও আবেদন জমা দেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই, তবুও ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে না।
ইতালি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাইয়ানি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এই তালিকা পরিবর্তিত হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ইতালির শ্রমবাজারে প্রবেশ করা আরও কঠিন হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ চান, যাতে ইতালি সরকারের সাথে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। ইতালি বাংলাদেশ দূতাবাস রাষ্ট্রদূ এটিএম রফিকুল হক বার্তা বাজারকে জানান, ইতোমধ্যেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশন অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তারা আমাদের কে আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যায়।
বার্তাবাজার/এসএইচ