বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এই আদেশ দেন। শুনানির একপর্যায়ে আমুর আইনজীবীকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেন একদল আইনজীবী। এ দিন আদালতে আমুকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। বলা হয়, ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি এই আওয়ামী লীগ নেতা। রহস্য উদ্ঘটনে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে আমুকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে তার জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানিতে আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেন একদল আইনজীবী।

এরপর আমু কথা বলতে গিয়ে বলেন, আইনজীবীরা পরস্পর ভাই ভাই। কিন্তু আজ আদালতে যে পরিবেশ আমি দেখলাম, তাতে কিছু বলবো না। যখন পরিবেশ হবে তখন বলবো। এর আগে, আজ সকাল ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আমির হোসেন আমুকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালত প্রাঙ্গণে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ঝালকাঠির আমুর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে তার ওই বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৮ আগস্ট ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে তার সন্তান ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ