বরগুনায় স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদন্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা এবং আপন ভাই ও মাকে পাচঁ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন।
মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলো- বরগুনা জেলার পাথরঘোটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের সতকর গ্রামের আবদুল হামিদ দর্জির ছেলে মো. নুরুজ্জামান। তার আপন ভাই মো. রিয়াজ ও মা মোসা. আরবজান।রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
মামলার বাদী ওই একই উপজেলার জ্ঞানপাড়া গ্রামের মো. রুস্তম আলী ওই ট্রাইব্যুনালে ২০১০ সালের ২৫ আগষ্ট সকল আসামীদের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ে নাদিরা আকতারকে ২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুরুজ্জামানের সঙ্গে বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর থেকে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা নাদিরার নিকট যৌতুক দাবী করে নির্যাতন করতো। শশুর বাড়ীর অত্যাচার সহ্য করেও নাদিরা স্বামীর সংসার করেছে। যৌতুক লোভী দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা ২০১০ সালের ১৯ আগষ্ট দুপুরের সময় নাদিরা বাথরুমে গোসল করতে রওয়ানা দেয়।
ওই সময় ওই দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা নাদিরার কাছে আবারও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। নাদিরা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে নুরুজ্জামান নাদিরাকে গলাটিপে হত্যা করে। অপর আসামীরা নাদিরার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে প্রচার করে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
ট্রাইব্যুনাল মোট ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন।
মামলার বাদী জানান, আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। এবং আমি দ্রুত এই বিচার কার্যকর হয় জানো তার দাবী জানাছি।
আসামী নুরুজ্জামান বলেন, আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপীল করবো।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন তোফাজ্জাল হোসেন তালুকদার।