ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদবির করতে এসে গ্রেফতার মো. জুয়েল রানার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী রিমান্ড মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মওদুদ হাওলাদার আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুন নাহার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, আসামি মানসিকভাবে অসুস্থ। যে কারণে এমন কাজ করেছেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করেন বিচারক। গত রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মো. জাহিদুল কবিরের খাস কামরায় গিয়ে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী জজ) পরিচয় দিয়ে মামলার তদবির করেন জুয়েল রানা।
তিনি নিজেকে ১২তম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত বলে জানান। একপর্যায়ে একটি মামলার আসামির জামিনের বিষয়ে কথা বলেন তিনি। কথা বলার সময় সারেন্ডারের পরিবর্তে সালেন্ডার শব্দটি উচ্চারণ করেন। এতে সন্দেহ হয় বিচারক জাহিদুল কবিরের। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তার আসল নাম মো. জুয়েল রানা। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার বিশাদ বেটকা মুন্সিপাড়ার আবদুর রউফের ছেলে।
ওই ঘটনার পরে সিএমএম আদালত থেকে প্রতারক জুয়েল রানাকে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানার এসআই অনিল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলা করেন।