কার্বন ও সালফারে নষ্ট হচ্ছে গাছের ফল

রাজশাহীতে ইট-ভাটার ধূলাবালি, কার্বন ও সালফারে নষ্ট হচ্ছে গাছের ফল, শুকিয়ে যাচ্ছে সবুজ পাতা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আম-লিচুর মুকুলও। কৃষকদের অভিযোগ, জমিতে আগের তুলনায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ফসল। তাই ফসলি জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ভাটা মালিকদের কাছে। কৃষি বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দাবি, বিষয়টিতে সর্তক দৃষ্টি রয়েছে তাদের।

ইটভাটার অবস্থান হবে ফসলি জমি থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে। কিন্তু মানা হচ্ছে না ইটভাটা নির্মাণ সংক্রান্ত আইন। ফলে মাটি পোড়ানো ধোঁয়ায়, সবুজ ফসলি প্রান্তর এখন ধূসর ও বিবর্ণ। কলায় পচনের দাগ, বিকশিত হচ্ছেনা লিচুর মুকুল। আক্রান্ত ফল-ফসল মাঠের চিত্র রাজশাহীর পবা, দূর্গাপুর, গোদাগাড়ী জুড়ে। কৃষকরা বলছেন, কলা, পেঁপে বা অন্যান্য শাক-সবজি সবই প্রায় ক্ষতি হয়ে থাকে। বাতাসে ধোয়াটা যেদিক দিয়ে নিয়ে যায় সেদিক দিয়ে ধানটা পুড়ে যায়। যখন ভাটাগুলো ছিল না তখন ফল যেমন সুস্বাদু ছিল তা এখন কমে গেছে।

চাহিদা মেটাতে ভাটা মালিকরা ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে তৈরি করছে ইট।তাতে দিন দিন উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। আর অনুর্ভর কৃষি জমি ভাটাওয়ালাদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে অসহায় কৃষক। কৃষকের মোট উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে,চাষ ছাড়া ভিন্ন কাজে জমির ব্যবহারে সতর্কতার কথা বলছেন রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো: শামছুল হক।

তিনি বলেন, দুই ফসলী বা তিন ফসলী জমিতে ইটভাটা না করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের কাছে যদি কেউ সুপারিশ চায় তাহলে আমরা অবশ্যই সুপারিশ করবো না।

অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদন্ত করে দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে,রাজশাহীতে মোট ইটভাটা ৭৬টি। গেল তিন মাসে ৫টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি তিনটিকে জরিমানা করা হয়েছে ১লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর