বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে গুরুতর আহত হওয়া ফায়ারম্যান সোহেল রানার মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে তার নিজ এলাকায় ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের কেরুয়ালা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দরিদ্র কৃষক পিতা নুরুল ইসলামের বড় ছেলে সোহেল রানা তার চার ভাইসহ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলো। তাকে মা হালিমা খাতুনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠছে এলাকার। উল্লেখ্য. গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সময় কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডারে (উঁচু মই) উঠে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ করছিলেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে ভবনে আটকে পড়া অনেককে উদ্ধার করেছেন। সোহেল রানা মই থেকে পিছলে পড়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিলেন। পাটা কোন রকমে শরীরের সঙ্গে লেগে আছে। পেটে চাপ লেগে নাড়িভুঁড়িও থেঁতলে যায়।
কিছুক্ষণ পরেই অজ্ঞান হয়ে যান সোহেল রানা। তারপর থেকে সিএমএইচে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সোহেল রানাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।