আজ সোমবার পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশের ১৬ জেলার ১১৬ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। কারণ সব দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩৭, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৪৮ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সাধারণ ১৩ জন ও সংরক্ষিত ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট হওয়ার কথা ছিল ১২৯ উপজেলায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে ছয় উপজেলায় ভোটের দরকার পড়ছে না। এছাড়া ছয় উপজেলার ভোট পিছিয়েছে এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
১৮ মার্চকে ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঠিক করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি। দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে ও পরে দুইদিনসহ মোট ৫ দিন মাঠে থাকছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এর অংশ হিসেবে শনিবার পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশ, ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। আচরণবিধি প্রতিপালন ও বিশৃঙ্খলা ঘটনা রোধে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ থাকবে সাধারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রভেদে। সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫/১৬ জন নিয়োজিত থাকবেন।
আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপের, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোট হবে এবং পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন। এর আগে গত ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় ভোট হয়, ভোট পড়ে ৪৩ শতাংশ। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে ভোট হয় ৭৮ উপজেলায়। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান হন ২৮ জন।