ভূতের গর্তে পা আটকে গেছে কোহলির !

ম্যাচ শেষে নিথর দাঁড়িয়ে আছেন আইপিএলে রয়্যাল চালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলি। যেন পেছন থেকে টেনে ধরা কোনো অদৃশ শক্তির প্রভাবে সামনে এগুতে পারছেন তিনি। আই্পিএলের চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে ছয়টি ম্যাচ খেলেছে কোহলির দল। একটিও জয় পায়নি তার দল। সব ম্যাচেই হেরেছে। শত চেষ্টা করেও সামনে এগুতে পারছেন না কোহলি। যেন ভূতের গর্তে পা আটকে গেছে তার।

সবশেষ রবিবার বিকালে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের বিপক্ষে ৬ উইকেটের হারের আস্বাদন করেন কোহলিরা।

বেঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে দর্শক মূলত দেখতে এসেছিলেন বিরাট কোহলির দলের একটি জয়। এমনিতেই প্রিয় দলের এমন হারে ক্ষুব্ধ হয়ে সমর্থকগোষ্ঠী খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলো ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুলকে। তবুও কি সমর্থকদের জন্য একটি সান্ত্বনার জয় এনে দিতে পেরেছেন বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা?
গত ৫ ম্যাচের সঙ্গে আবারো যোগ হলো আরেকটি পরাজয়। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিট্যালস টস জিতে ব্যাট করতে পাঠায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। ওপেনিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বেঙ্গালুরুর। ব্যক্তিগত ৯ রানে ক্রিস মরিসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার পার্থিব প্যাটেল।

অপরদিকে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৩৩ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ব্যক্তিগত ৪১ রানের মাথায় রাবাদার শিকার হন বিরাট। ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৭ রান। মার্কোয়েস স্টোয়নিস ১৬ বলে ১৭ রান করে অস্কার প্যাটেলের শিকার হয়ে প্যাভিলয়নে ফেরেন।

শেষ দিকে মঈন আলি ঝড়ো ইনিংসের আভাস দিলেও থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১৮ বলে তিন ছক্কায় ও এক চারে ৩২ রান করে ল্যামিচানের শিকার হন তিনি। আক্ষদ্বীপ নাথ করেন ১৯ রান। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান যেতে পারেনি দুই অঙ্কের ঘরে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু।

দিল্লি ক্যাপিট্যালসের হয়ে কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। পাশাপাশি ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ক্রিস মরিস নেন দুটি উইকেট।

১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানে শিখর ধাওয়ান শিকার হন টিম সাউদির। এরপর ওয়ানডাউনে নেমে অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়্যার ও পৃথ্বিব শো মিলে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ২২ বলে পাঁচ চারে ব্যক্তিগত ২৮ রানে পাওয়ান নেগির শিকার হন পৃথ্বিব শো।

তবে এই জুটিতেই অনেকটা জয়ের ভিত হয়ে যায়। অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়্যার দেখে শুনে তুলে নেন ফিফটি। ৫০ বলে আট চার ও দুই ছয়ে ৬৭ রান করে সাইনির শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন শ্রেয়াস। পরে ইনগ্রামের ২২ ও ঋশভ প্যান্থের ১৮ রানের ছোট ইনিংসে ভর করে ১৮ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দিল্লি ক্যাপিট্যালস।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরুর হয়ে সাইনি ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে নেন ২ উইকেট। ৬৭ রান করে ম্যাচ সেরা হন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়্যার।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর