বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের ওপেনিংয়ে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গী হচ্ছেন কে? আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার নাকি পাকিস্তান-ভারতের বিপক্ষে ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছোটানো উসমান খাজা?
স্টিভেন স্মিথ কি ফিরছেন ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে? নাকি শেষ পর্যন্ত কপাল পুড়ছে শন মার্শের। ৩০ মে থেকে শুরু হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপে কেমন হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার দল?
ভাবুন তো একবার। শেষ ১০ ইনিংসে যার নামের পাশে পাঁচটা ফিফটি আর দুইটা শতক। ব্যাটিং গড় ৬৫.৫০। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সেই উসমান খাজার নামটাই যে নড়বড়ে। আর শেষ মুহূর্তে নাম থাকলেও নিশ্চিত নন আদৌ জায়গা হবে কি-না সেরা একাদশে।
কারণ বিপিএল আর আইপিএলে ফর্মের সঙ্গে অভিজ্ঞতাটা যে কথা বলছে ডেভিড ওয়ার্নারের পক্ষে। তাইতো নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ওয়ার্নার ফিরলে ফিঞ্চের সঙ্গে ওপেনিং করবেন তিনিই। সেক্ষেত্রে দলে থাকলে তিন নম্বরে ব্যাট করতে হবে খাজা’কে।
খাজা তিনে ব্যাট করলে কোপটা নিশ্চিত ভাবেই পড়বে শন মাশের ওপর। কারণ ৪ নম্বরের জায়গাটা পেতে পারেন স্টিভেন স্মিথ, হতে পারেন নির্বাচকদের অটোমেটিক চয়েস।
অস্ট্রেলিয়ার মূল একাদশে রাখতেই হকে পিঞ্চ হিটার ম্যাক্সওয়েলকে। পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশের গল্পে যে চড়াও ছিলো তার ব্যাট।
উইকেটের পেছনে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকবেন অ্যালেক্স ক্যারি। একাদশে জায়গা নিশ্চিত পিটার হ্যান্ডসকম্বের। যেমনটা নিশ্চিত মার্কাস স্টোইনিসের জায়গাও। ফিনিশিংয়ে অ্যাস্টন টার্নারও ফেলেছেন মধুর সমস্যায়।
স্পিনে অ্যাডম জাম্পা নাকি নাথান লায়ন। নাকি থাকছেন এ দু’জনই এ নিয়ে ঘুম হারাম নির্বাচকদের। ইংল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটে ৪ পেসার নিয়ে খেললে হ্যাজেলউড, কামিন্স, ঝেই রিচার্ডসন আর মিচের স্টার্কের নেই কোন বিকল্প।
এছাড়া ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে বেশ ভালোভাবেই আছে কল্টার নেইল, স্যাটনার, শর্ট আর জ্যাকসন বেহরেনড্রফের নামও। চিন্তার ভাজ, কাকে রেখে কাকে দেয়া হবে বাদ।
সেই মধুর সমস্যা সমাধানে মঙ্গলবার বসবে অজি নির্বাচকরা। আর ওই দিনই ঘোষণা হতে পারে চূড়ান্ত স্কোয়াড। যাতে কপাল পুড়বে কার সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।