তাহলে কি সাকিবের আইপিএল মিশন শেষ ?

সর্বশেষ আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে ১৭ ম্যাচে সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে করেছেন ২৩৯ রান।

আর বল হাতে ঝুলিতে পুরেছেন ১৪টি উইকেট। দল শিরোপা জিতলে অবশ্য ষোলকলাই পূর্ণ হতো সাকিবের। কিন্তু ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৮ উইকেটে হারায় তা আর হয়নি।

সব মিলিয়ে গত আসরে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছিলেন সাকিব; যার পুরস্কারস্বরূপ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১২তম আসরে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের এই অধিনায়ককে ধরে রাখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যদিও চলমান আসরে ভিন্ন চিত্রই দেখা যাচ্ছে।

দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ইতোমধ্যে খেলেছে পাঁচটি ম্যাচ। তবে সাকিব মাঠে নেমেছেন মাত্র একটিতে। তাও প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। তার বোলিং থেকেই প্রতিপক্ষ বের করে নিয়ে যায় জয়। তারকা ও প্রতিভাবান বিদেশিতে ঠাসা হায়দরাবাদের একাদশে সাকিব ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছেন।

এতে হচ্ছে না বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও। আর তাই তো তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৬ এপ্রিল, শনিবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বিএসপিএ’র স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এমন আভাসই দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আইপিএলে একাদশে সুযোগ না পেয়ে ডাগআউটে বসে থেকে সাকিবের কার্যত কোনো উপকার হচ্ছে না জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বিশ্বকাপ যেহেতু ৫০ ওভার, টি-টোয়েন্টির সঙ্গে তাই এর বড় পার্থক্য। তবে আইপিএলে ও যদি খেলার মধ্যে থাকত, ম্যাচ প্র্যাকটিস ওর জন্য বড় একটা ফ্যাক্টর হতো।’

আইপিএল শুরুর আগে সাকিব ছিলেন মাঠের বাইরে। চোটের কারণে খেলতে পারেননি নিউজিল্যান্ড সিরিজেও। প্রিমিয়ার লিগে না খেলে আইপিএলে গিয়েও সুযোগ পাচ্ছেন না খেলার। তাই সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনাই ভালো হবে বলে মনে করেন বোর্ড সভাপতি।

এ নিয়ে পাপনের ভাষ্য, ‘ও যেহেতু একটা লম্বা গ্যাপে ছিল, আমাদের ধারণা ছিল ও ম্যাচ প্র্যাকটিসে থাকলে ওটা ওর জন্য কাজে দেবে।

কিন্তু যেহেতু টিম কম্বিনেশনের কারণে খেলা হচ্ছে না তার (সাকিবের), সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি আমাদের যখনই ক্যাম্প শুরু হবে, সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ফেরত নিয়ে আসাটাই ভালো হবে।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর