খরস্রোতা চেল্লাখালী নদীর বুকে বোরো ধান

নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে খরস্রোতা নদী চেল্লাখালী।নদীর বুকে জেগে ওঠেছে বালুচর। নদীর দু’তীরে দাঁড়িয়ে আছে সু-উচ্চু পাহাড়। বর্ষায় থাকে নদীতে ভরা যৌবন।

আর শুষ্কতে হাঁটুজল।পাহাড়ি ঢল যখন ছুটে তখন ভাসিয়ে নিয়ে যায় সবকিছু। এক সময় নদীটি ছিল সরু। দু’তীরের ভাঙনে এখন অনেকটা প্রশস্ত। তাই বোঝার উপায় নেই নদীর আসল ধারা কোনটি। নদীর উপর বুরুঙ্গায় স্থাপিত হয়েছে একটি বিশাল ব্রিজ। এই ব্রিজ দিয়ে সীমান্তপথে যাতায়াত করছে অসংখ্য যানবাহন।

বর্ষায় পাহাড়ি পলিতে ব্রিজের উজান এবং ভাটিতে জেগে ওঠে নদীর বুকে বিশাল বালুচর। লোলুপ দৃষ্টি পড়ে বালু ব্যবসায়ীদের। অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহা উৎসব শুরু হয়। শ্যালু পাম্প বসিয়ে চলে বালু উত্তোলন।

যা উজানে এখনো অব্যাহত রয়েছে। ব্রিজটি পড়ে যায় হুমকির মধ্যে। নজর পড়ে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও এলাকার সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর। তিনি পরিকল্পনা করেন নদীর গতিপথ পরিবর্তনের। যা ভাবনা তাই কাজ। নদীর পশ্চিম তীরে ভাঙন বেশি।

সেখানে পাইলিং দিয়ে ভাঙন রোধ করা হয়। পূর্বতীর ঘেঁষে চলে খননকাজ। এতে নদীর বুকে সৃষ্টি হয় আরো একটি নদী। নদীর ধারা দেওয়া হয় সেই নতুন নদীতে।

ব্রিজের থেকে শুরু করে ভাটিতে নামিয়ে দেওয়া হয় সেই ধারা। ফলে পশ্চিমপাড়ের মানুষ স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে। নদীর চরে শুরু করে কৃষি আবাদ।

কৃষকেরা আবাদ করে ধান, ভূট্টা, রবিশস্য। ব্রিজের উজান এবং ভাটিতে প্রায় ২০ একর জমিতে এবার নদীর বুকে কৃষক আাবাদ করেছে বোরোধান। নদীতে পাহাড়ি ঢল আসার আগেই স্থানীয় ২৬ জাতের এসব ধান কৃষকের গোলায় ওঠবে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষাণ।

স্থানীয় কৃষক আকতার হোসেন, মর্তুজ আলী, নুরুজ্জামান, জহুরুদ্দিন সহ অনেকে জানান, পূর্ব পাশ দিয়ে নদীর প্রবাহ দেওয়ায় আমাদের বাড়িঘর রক্ষা পেয়েছে। ফিরে পেয়েছি আমরা নদীগর্বের জমি। খননকৃত নতুন নদীর পশ্চিমের তীরটি আরো মজবুত করা হলে আমরা নিশ্চিন্তায় কৃষি আবাদ করতে পারবো।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর