মা-মেয়েকে গণধর্ষণ, মোখলেছ-বাদলদের খুঁজছে পুলিশ

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় বাসে তুলে দেয়ার কথা বলে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নির্যাতিত মা-মেয়ে।

রোববার দুপুরে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কাদেরের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তারা। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত দুইজনের গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তারা হলো- দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও মো. শফিক (২৫)। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার মা বাদী হয়ে শিবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার বাকি আসামিরা হলো- মো. মোখলেছ (৩২), মো. বাদল (৪২), বাবু মিয়া (২৫) ও মো. আলমগীর (৪০)। তাদের সবার বাড়ি শিবপুরের সৃষ্টিগড় এলাকায়।

ঘটনায় জড়িত বাকি চারজনকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার দিনভর শিবপুর ও সৃষ্টিঘর এলাকায় তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়।

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে হবিগঞ্জে ফিরছিলেন মা-মেয়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের সৃষ্টিগড় বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি বিকল হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় ছয়জন ব্যক্তি তাদের আরেকটি বাসে তুলে দেয়ার কথা বলে সামনের দিকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা মেয়েকে টেনে নিয়ে যায়। মেয়েকে ফেরাতে মা দৌড়ে যান। এরপর স্থানীয় একটি পাটকলের পরিত্যক্ত ঘরের দুটি কক্ষে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করে ছয় ব্যক্তি। মা-মেয়ের চিৎকারে আসামিরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর দেলোয়ার ও শফিক পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

শিবপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্যাতিত মা-মেয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত দুইজন এ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছি আমরা। বাকি চারজনকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, আজ সারাদিন মোখলেছ, বাদল, বাবু মিয়া ও মো. আলমগীরকে খুঁজেছি আমরা। তাদের সবার বাড়ি শিবপুরের সৃষ্টিগড় এলাকায়। দিনভর শিবপুর ও সৃষ্টিঘর এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি। তবে আমরা তাদের খুঁজছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হবে। কোনোভাবেই তারা ছাড় পাবে না।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর