ভূমিধস জয়ে ফিরলেন মালদ্বীপের নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ

মালদ্বীপের নির্বাসিত নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের রাজনৈতিক দল মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে। নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বীরের বেশেই ফিরলেন এই মালে নেতা। রোববার পার্লামেন্টের প্রাথমিক ফলাফলে তার দল এগিয়ে রয়েছে বলে বার্তাসংস্থা এএফপি খবর দিয়েছে।

আবারো গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে ৫১ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাশিদের মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি ৮৭ আসনের পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে।

দেশটির স্বৈরাচারী সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের বাধ্যতামূলক পদত্যাগের পর শনিবার প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে মোহাম্মদ নাশিদের জন্য জন-মতামতের পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করার পর স্বৈরশাসক আব্দুল্লাহ ইয়ামিন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন; তার বিরুদ্ধে অর্থ-পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসেন মোহাম্মদ নাশিদ। কিন্তু তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন এমডিপির নেতা নাশিদকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু শনিবারের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ৮৭ আসনের পার্লামেন্টের ৫০টিতে জয়ী হতে যাচ্ছে এমডিপি। তবে বেসরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এমডিপি ৬৮ আসনে জয় পেতে পারে।

শনিবার রাজধানী মালেতে মোহাম্মদ নাশিদ সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, নতুন এক সূর্যোদয়কে স্বাগত জানাতে যাচ্ছে মালদ্বীপ, সুবর্ণ হলুদ সূর্যোদয়। মোহাম্মদ নাশিদের রাজনৈতিক দল এমডিপির দলীয় রঙ হলুদ।

দেশটির নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ধারণা, নির্বাচনে মোট ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে। গত সেপ্টেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল; ওই নির্বাচনের পর অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয় ইয়ামিনকে।

নির্বাচনের জয় লাভের ফলে দেশটির পার্লামেন্টে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ নাশিদ। দেশকে আবারো গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থায় সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, মজলিসে (পার্লামেন্ট) বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এমডিপি। আমরা এ জয় উদযাপন করবো, কিন্তু আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো ভুলে যাওয়া যাবে না।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর