সবুজে ঘেরা ক্যম্পাসের গল্প

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম একটি।এটা আমাদের কারোও অজানা নয়,যে কারণে ঢাকা শহরে ফাঁকা জায়গা খুবই কম। ঢাকার ভিতরে অবস্থিত বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামান্য জায়গা কে পুঁজি করে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।ফলে সেখানে তারা শিক্ষার কার্যক্রম চালানোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট পরিমান জায়গা পাচ্ছে না। সেখানে কি করে তারা গাছ রোপন করবে.? কি করে আমাদের প্রজন্মদের প্রকৃতির সান্নিধ্য দেবে..?

যারা শিক্ষার সাথে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চান তাদের জন্য বলবো একটি ক্যম্পাসের কথা।তার আগে বলে নেই দেশের প্রায় বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্লাশ হয়।তার মাঝে হালকা বিরতি। সারাদিন ক্লাশ করে যখন শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত,তখন তারা চায় প্রকৃতির ছোয়া পেতে।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যম্পাসটি হলো তাদের জন্য।ঢাকা শহরের সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যম্পাস রয়েছে।যা সুবুজের অরণ্য নির্ভর।১২ বিঘার উপর নির্মিত এই সবুজ ক্যাম্পাসটি।

ক্যম্পাসে প্রবেশ করতে শুরুতে এক পাশে রয়েছে ফুলের বাগান।বাগানে গোলাপ, সূর্যমুখী,স্বর্ণলতা, রজনীগন্ধা, বেলি, ইত্যাদি নজরকাড়া হরেক রকমের বিভিন্ন প্রজাতির ফুল।ফুলগুলো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য কে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। এসব ফুলের গন্ধে ভরে গেছে মানারাতের সবুজ ক্যাম্পাসটি।কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হতে পারে ফুলের সুবাসে মুখরিত মানারাত।

পিচ ঢালা রাস্তায় একটু অগ্রসর হলে রাস্তার পাশে লেপটে থাকা লাল ফুলগুলো দেখলে মনে হবে শিক্ষার্থীদের লালগালিচায় অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে পথ চেয়ে বসে আছে এই ফুলের বাগের ফুলগুলো।

একটু সামনের দিকে পা বাড়ালে একটি বিশাল মাঠ। মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা হয়।ক্লাসের ফাঁকে বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের আড্ডার মিলন মেলায় পরিণিত হয় এই মাঠটি।চলে আড্ডা সাথে দুষ্টুমি আর খুনসুটি।মাঠের একপাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।যা গ্রীষ্মের সময় ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের ছায়া দানে ব্যস্ত থাকে।পাখ-পাখালির কলরবে মুখরিত থাকে সবুজ ক্যাম্পাসটি।চারপাশে আরও রয়েছে সবুজ গাছ।একটু সামনের দিকে পা বাড়ালে ডানে-বামে সামনের দিকে সুউচ্চ প্রাশাসনিক ভবন।যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টেদর ক্লাশ হয়।দূর থেকে ক্যম্পাসটি দেখে আপনার মনে হতে পারে যেন কোনো শিল্পীর সুনিপুণ ছোয়ায় আঁকা চিত্রকর্ম।সুন্দর এই দৃশ্য দেখতে হলে চলে আসতে হবে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে। প্রাকৃতিক ও নান্দনিক সৌন্দর্যের এই দৃশ্য সঙ্গীর কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। নিরিবিলি শান্ত স্নিগ্ধ এই ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের গর্বের শেষ নেই।বলা যায় সুন্দর পরিবেশে প্রকৃতির ছোঁয়ায় চির সবুজে ঘেরা একটি ক্যম্পাস।